ক্রীড়া সাংবাদিক জীবনে কতজনরে নতুন ম্যারাডোনা সম্বোধন কইরা লিখছি ইয়ত্তা নাই। সত্যি ম্যারাডোনা অবসরে যাওয়ার পর আর্জেন্টাইন মিডিয়া একটা কইরা নয়া বকরি আনে, আমরাও লেখি। বাটকু আর বা পায়ের হইলেই হইছে। আরিয়েল ওর্তেগা, পাওলো আইমার, কিলি গঞ্জালেস, হুয়ান রিকুয়েমে, কার্লোস তেভেজ, লিওনেল মেসি। এই শেষ জনে আইসা অবশেষে থামলো মনে হইতেছে। স্বয়ং ম্যারাডোনাও মুগ্ধ। আমি আগেই মুগ্ধ আছিলাম। বায়ার্নের লগে বার্সেলোনার ম্যাচ দেইখা সেইটা আরো বাড়ছে। এর সম্পর্কে বইলা শেষ করা যাবে না। এক কথায় লেখতে হবে জাদুকর।
গত বিশ্বকাপে একটা বিশাল প্রিভিউ লিখছিলাম। ম্যারাডোনার মেক্সিকো জয়ের পুনরাবৃত্তির আভাসে। '৮৬ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা নিজেরে ফুটবল গড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করছিলেন। সেইবার তার প্রতিপক্ষ ছিলো। মিশেল প্লাতিনি, জিকো দ্য হোয়াইট পেলে, সক্রেটিস, লিনেকার, লিটবারেস্কি, বনিয়েক, এঞ্জো ফ্রান্সেসকোলিসহ অনেকেই। অনেক সেরার মাঝখানে গ্রেটেস্ট হইছেন ম্যারাডোনা। ২০ বছর পর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, ওয়েইন রুনি, ফার্নান্দো তোরেস, রবিনিয়ো, মেসিদের লড়াইয়ে নতুন ফুটবল ঈশ্বর পাওয়ার প্রত্যাশা ছিলো। কিন্তু মিলে নাই। কাপের ভাগ্য নির্ধারণ করছে জিনেদিন জিদানের মতো মুরুব্বি ফুটবলার। তার বসগিরি নিয়া আমার কোনো সন্দেহ নাই অবশ্য।
আগামী বছর সাউথ আফ্রিকা কে মাতাইতে পারে! উপরের নামগুলাই হয়তো আসবে। দুই দশকের জায়গায় হয়তো দুই যুগ কথাটাই লেখা হবে। আমি বাজিকর হইলে মেসির পক্ষেই লাগাইতাম বাজি। কিন্তু আমি পাঁড় ব্রাজিলিয়ান সমর্থক। ভিভা ব্রাজিল কইয়া গলা ফাটাইয়া লামু। কিন্তু খেলা দেখুম মেসিরই। ওয় কাপ নিলে একটুও দুঃখ পামু না।